বমির লক্ষণগুলো বোঝা জরুরি

দূষিত খাবার থেকে পাকস্থলীতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হলে বমি হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো গুরুতর রোগের লক্ষণ হিসেবেও বমি হতে পারে। বমির কারণ বুঝতে হলে এর রং এবং আনুষঙ্গিক লক্ষণ যাচাই করা প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, অস্বস্তি বা বমি বমি ভাব ছাড়াই হঠাৎ করে বমি শুরু হলে একে খাদ্যনালির প্রদাহ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে না। আর বমির সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা থাকলে তা অনেক সময় মস্তিষ্কের ভেতরের চাপ বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। তবে বমি বা ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। বমির পাশাপাশি তীব্র পেটব্যথা হলে পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয় বা অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ নির্ণয়ে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। আলসার থাকলেও এমন পেটব্যথা হতে পারে।
বমি শুরু হওয়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাথায় আঘাতের ইতিহাস, বমির পাশাপাশি অসংলগ্ন আচরণ বা কথাবার্তা, বোধশক্তি বা চেতনা কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিলেই ভালো হবে। বমির রং সবুজ বা হলুদ হলে (বিশেষ করে শিশুদের) অথবা লাল বা বাদামি কিংবা রক্তবমি হলে, বমির সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বর থাকলে সেগুলোকে খারাপ লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। প্রস্রাবে সংক্রমণ হলেও বমি হয়, এর সঙ্গে থাকে জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা তলপেটে ব্যথা। ক্রমাগত বমি, যদি তা পরিমাণে অল্পও হয় এবং পানিশূন্যতার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা গেলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়াই ভালো।
কী করবেন?
* গুরুতর কিছু না হলে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকুন। বমি হওয়ার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাবেন না।
* বমি হওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর সামান্য পানি বা ওরস্যালাইন পান করুন। পেটে সহ্য হলে পানি বা স্যালাইনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ান। তবে আবার বমি হলে ১৫-২০ মিনিট খাওয়া বন্ধ রাখুন। অন্তত ছয় ঘণ্টা তরল খাবার চালিয়ে যান। এরপর কলা, ভাত, আপেলের চাটনি আর টোস্ট বিস্কুট খেতে পারেন। এগুলো সহজপাচ্য খাবার।
* নারীদের বারবার বমি বা বমি ভাব হলে শেষ মাসিকের তারিখটি কবে ছিল ভেবে দেখুন।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »