রোগ সারাতে কালিজিরার গুণ

কালিজিরাকে বলা হয় সর্ব রোগের মহৌষধ। প্রচলিত আছে মৃত্যু ব্যতিত এটি সব রোগই
সারাতে পারে। তাই এটাকে খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। জ্বর, কফ, শরীরের ব্যথা
দূর করার জন্য কালিজিরা উপকারিতার শেষ নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম কালিজিরায় পাবেন
৩৪৫ কিলোক্যালরি, ফ্যাট ১৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৬৯৪
মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫২ গ্রাম, প্রোটিন ১৬ গ্রাম। এসব উপাদান নানা ভাবে
আমাদের সুস্থ রাখতে দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কালিজিরার
গুণ সম্পর্কে আরও কিছু খবর।

১। প্রতিদিন মাত্র দুই গ্রাম করে কালিজিরা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে টাইপ টু
ডায়বেটিসের আশঙ্কা কমে।

২। দিনে দুইবার করে কালিজিরার তেল খাওয়ার অভ্যাস উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে
সক্ষম। এই অভ্যাসে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দুর করা সম্ভব।

৩। কালিজিরায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন ক্যানসার পর্যন্ত রোধ করতে দারুণভাবে
সহায়তা করে। এছাড়াও কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপকার করে থাকে।

৪। কালিজিরা মেধার বিকাশে এটি দারুণ কাজ করে। কালিজিরা নিজেই একটি
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

৫। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে। জিহবা,
তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। তবে পরিমাণের অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে বদহজম হতে
পারে।

৬। কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘকাল। কাজ করার
শক্তিকে বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ।

৭। দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্যও কাজ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে কালিজিরা
ভাত-রুটির সঙ্গে বা কাঁচা খেতে পারেন। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান।

৮। পেটের যাবতীয় রোগজীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান,
তাদের জন্য কালিজিরা উপযুক্ত পথ্য।

৯। যাদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের পানি জমতে
বাধা দেয় কালিজিরা।

১০। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

১১। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগজীবাণু
ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ হয় না।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »