পিরিয়ডের সময়ে মেয়েদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হয় কেন?

মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিশেষ কিছু সমস্যার দেখা দেয়। তবে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো অনেক মেয়েরা মুখ ফুটে বলতেই চান না কারো কাছে। আপনার যদি এমন কিছু সমস্যা থাকে কিন্তু তা নিয়ে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে না চান, তাহলে এখানেই দেখে নিতে পারেন কিছু সমাধান।
.
* পিরিয়ডের সময়ে যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হওয়া : পিরিয়ডের সময়ে কারও কারও যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটা একেবারেই দেখা যায় না। এটা এস্ট্রাডিওল নামের একটা প্রাইমারি সেক্স হরমোনের কারণে হতে পারে। প্রোজেস্টেরনেরও কিছু ভূমিকা থাকতে পারে এর পেছনে। পিরিয়ডের সময়ে একজন নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল অনেক কম থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরোনের লেভেল থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরোন নারীর যৌনাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে ইস্ট্রোজেন কমে টেস্টোস্টেরোন বেড়ে গেলে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে।

.
* পিরিয়ডের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হওয়া : এ সময়ে শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিস নামের হরমোন জাতীয় এক ধরণের রাসায়নিক জিনিসে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের শুরুর দিকে এর কারণে মেয়েদের ইউটেরাস সংকুচিত হতে থাকে এবং এর ফলেই ব্যাথা হতে পারে। প্রোস্টাগ্লান্ডিস আমাদের হজমতন্ত্রেও পরিবর্তন আনে। এর কারণে আমাদের ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হতে পারে। আবার এটা কম হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্ও হতে পারে। তবে পিরিয়ডের সময়ে যদি আপনার মল পিচ্ছিল মনে হয় তাহলে অবশ্য আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো কারণ এটা অন্য কোনো সমস্যার নির্ধারক।
.
* টক্সিক শক সিনড্রোম হওয়া : অনেকেই জানেন, যে পিরিয়ডের সময়ে প্যাড বা ট্যাম্পন সময়মত পরিবর্তন না করলে টক্সিক শক সিনড্রোমের কারণে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে। এর উপসর্গ হতে পারে বেশ জ্বর, লো ব্লাড প্রেশার, বিভ্রান্তি এবং এনার্জির কমতি। এ থেকে খুব দ্রুতই কোমা, অর্গান ফেইলিওরের মত ভয়ংকর সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এমন কোনও সমস্যা হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
.
* পিরিয়ডের সময়ে মেজাজ ওঠানামা : প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আসলে অনেকগুলো, এর মাঝে একটি হলো মেজাজের ওঠানামা। হঠাৎ করেই দুঃখ, বিষণ্ণতা, রাগ আপনাকে ছেঁকে ধরতে পারে। আবার আবেগ বেশি হতে পারে, এক মেজাজ থেকে আরেক মেজাজে চলে যেতে পারেন দ্রুতই। এর পাশাপাশি দেখা যায় শরীর ফুলে যাওয়া এবং মাথাব্যাথার মত সমস্যাগুলো। কারণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরে থাকা হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। এসব সমস্যা কম রাখতে আপনার খাদ্যভ্যাস রাখা উচিৎ স্বাস্থ্যকর।
.
* হেভি ব্লিডিং হওয়া : পিরিয়ডের সময়ে সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মত রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয় তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিং এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যাথা থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে।
.
* পিরিয়ড সাইকেলে সমস্যা : আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।

পুরুষদের জন্য --> যৌন দুর্বলতা থেকে বাচতে কি কি করবেন !!

আগেরকার দিনে রাস্তাঘাটে কিছু লোক কবিরাজ পরিচয় দিয়ে কোমলমতি যুবকদের বোকা বানিয়ে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করতো। কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তন হয়েছে। তাই তাদের প্রতারণার ধরনও বদলেছে। 
 
আজকাল ফেইসবুকে নানা প্রকার অশালীন ছবি দিয়ে কোমলমতি যুবকদের মনে দুর্বলতা তৈরী করে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
ভালো করে শুনে রাখুন - এই সব মাদক শ্রেনীর যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। এই সকল ঔষধ খেতে থাকলে আপনি সাময়িক কিছুটা উত্তেজনা অনুভব করবেন ঠিকই কিন্তু কিছু দিন কন্টিনিউ করলেই বুঝতে পারবেন আপনি ধীরে ধীরে এই সকল যৌন উত্তেজক ঔষধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন এবং এটা ছাড়া আপনি আর যৌন মিলন করতে পারছেন না।

শুধু তাই নয়, তখন দেখবেন আপনার শরীরে আর কোনো যৌন উত্তেজক ঔষধই কাজ করছে না, আর আপনি ধীরে ধীরে কিডনি, লিভার সহ আরো নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রকম ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত রয়েছে।

তাই লোভে পড়ে এই সকল যৌন উত্তেজক মাদক শ্রেনীর ঔষধগুলি লুকিয়ে লুকিয়ে কিনে খেয়ে খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না।

মনে রাখবেন পুরুষ মানুষ যৌন শক্তি লাভ করে দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকেই। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার মেনুতে রাখুন আশা করি আপনি যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না।

কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু শ্রেনীর মানুষ নানা প্রকার খারাপ অভ্যাসের কারণে অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যৌন সমস্যায় ভুগে থাকে, সে ক্ষেত্রে সঠিক কারণটি নির্ণয় করে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে কিছু দিনের মধ্যেই যৌন সমস্যা আজীবনের জন্য দূর হয়ে যায়, তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু দেখা গেছে - ঐ অবস্থায় অনেকেই না বুঝে এবং প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেয় - তাতে সমস্যাটি বরং আরো জটিল আকার ধারণ করে। তাই এই সব মাদক শ্রেনীর যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং যেকোনো যৌন সমস্যায় অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ একমাত্র হোমিও ট্রিটমেনটেই যৌন সমস্যা মূল থেকে দূর হয়ে যায়।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার দুটি উপায়

নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয়
রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ।
আপনি নারী, বা পুরুষ হোন, একটি সুন্দর
মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আসুন জেনে
নিই ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার দুটি
ঘরোয়া উপায়-
ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল:
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ
যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক
গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ
কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন।
এভাবে পান করতে না পারলে এর
সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ
মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং
হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে
কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে
পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি
সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর
টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে
দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে
গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে
প্রতিদিন একবার পান করবেন।
রূপচর্চায় হলুদ:
শুধু দুধের সাথে নয়, বাহ্যিক
রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার
করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে
কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব
কার্যকর। উপকরণ:
দুধ তিন টেবিল চামচ
লেবুর রস এক টেবিল চামচ
এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
প্রথমে দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো
একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা
পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট
ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো
হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে
গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার
করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে
আলতো করে মুছে নিন। গরম জল দিয়ে
মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা
রোদে যাবেন না।

মোটা হওয়ার টিপস - মোটা এবার হবেনই

 পৃথিবী জুড়ে যেখানে স্বাস্থ্য কমানোর ধুম, সেখানে মোটা হওয়ার টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?
আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্ত খুশিই হবেন। কেননা ওজন বাড়াবার টিপসগুলো তার জন্য এক রকম স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷ শারীরিকভাবে ক্ষীণকায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায় কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত খাই কিন্তু মোটা হই না কেন।
হতাশার এই মুহূর্ত থেকে মুক্তি দিতে তাদের জন্য দেয়া হলো ১০টি টিপস। যা আপনার ওজন বাড়াতে সহায়ক…
১. ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিস খান ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই।
রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন৷ সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।

২. প্রচুর শাক সবজি ও ফল খান ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে। যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।
৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলেওজন কমে।
৫. খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির স্যালাড।
৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই
৭. ‘মাড়যুক্ত’ ভাত খান অধিকাংশ মানুষই ভাতের মাড় ফেলে দেয়৷ মাড় ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে।ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের মড় না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চালের মাড় ভাত মজাও লাগবে খেতে।
৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
৯. কমান মেটাবলিজম হার মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
১০. খাদ্য তালিকায় বিশেষ খাবার আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন?উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
এরপরেও যদি ওজন না বাড়ে তাহলে চিকিৎকের সাহায্যে শরীর পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ পাওয়া যায়, তার চিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ, কৃমি, আমাশয় অথবা কোনো সংক্রামক রোগ থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম, নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।


আপনি কি জানেন, টানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে আক্রান্ত হতে পারেন ডায়াবেটিস-ক্যানসার !

আপনি কি জানেন, টানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে আক্রান্ত হতে পারেন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি মারাত্মক ক্যানসারে?
কি, অবাক হচ্ছেন? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্যই। গবেষকরা বলছেন, যারা দিনে আটঘণ্টা বা তার বেশি সময় বিরতিহীনভাবে বা খুব কম বিরতিতে একভাবে বসে কাজ করেন বা টিভি দেখেন, তাদের শতকরা ৯০ শতাংশেরই রয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি।

 গবেষণার তথ্যে আরও জানা যায়, যারা দীর্ঘ সময় বসে থাকেন তাদের ৫০ শতাংশ বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসহ রয়েছে ৫৪ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার, ৬৬ শতাংশ জরায়ু ক্যান্সার ও ৩০ শতাংশ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
মায়ো ক্লিনিক, এরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ডক্টর জেমস লেভিন জানান, দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে ব্যক্তির মধ্যে বিপাকীয় উপসর্গসহ প্রায় একগুচ্ছ শারীরিক সমস্যার উন্মেষ হয়। উচ্চরক্তচাপ থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, কোমরসহ অন্যান্য পেশিতে চর্বি জমা হওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।
একটানা বসে কাজ করলে শরীরে যে নয়টি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে:
মাথা
দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী নালীতে সুষ্ঠুভাবে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে স্ট্রোক হতে পারে।
ফুসফুস
একটানা ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা বসে থাকলে দিনে দু’বার রক্ত জমাট বা পালমোনারি এমবোলিজম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর এই জমাট রক্ত যদি মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয় তাহলে ব্যক্তির হতে পারে স্ট্রোক।
বাহু
হাঁটাচলা বা শারীরিক কার্যকলাপ কম হলে উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানিই।
পাকস্থলী
একভাবে বসে থাকলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও বেশিক্ষণ একভাবে বসে থাকলে পেশির রক্তনালীতে থাকা এনজাইম চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয়।
পায়ের পাতা
স্নায়ুর ওপর দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়লে পা অবস হয়ে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।
ঘাড়
সারাদিন পা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকার ফলে পায়ে পানি জমে। হঠাৎ উঠে দাঁড়ানোতে সব জলীয় পদার্থ ঘাড়ে এসে জমা হয়। এ থেকে ঘাড়ে ব্যথা ও নিদ্রাহীনতা হতে পারে।
হৃৎপিণ্ড
যারা বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন, তাদের অন্যদের তুলনায় দু’গুণ বেশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
পিঠ
টানা বসে থাকায় মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে মেরুদণ্ড সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
পা
বসে থাকার ফলে পানি পায়ে এসে জমা হয়, অনেক সময় পা ফুলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর হাঁটাহাটি করলে সেগুলো সারা শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান চান? তাহলে কি করবেন?

গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে, তা কি আসলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
 মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

বীর্য ঘন করার উপায়

বীর্য ঘন করার আসল প্রাকৃতিক ঔষুধ হল মধু। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার পর এক চা-চামচ বা তার কিছু কম খাবেন… তিন দিনের মধ্যে ফলাফল না পেলে চিকিতসকের পরামর্শ নিবেন।
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বীর্য ঘন করার উপায় সম্পর্কে। অনেকে আবার ওষুধ খেয়ে ঘন করতে না পেরে অতিষ্ঠ । তারা জানতে চান আসলেই কি বীর্য ঘন করার কোন উপায় আছে কিনা! হাঁ প্রাকৃতিক কিছু জিনিস যা আমদের হাতের কাছেই পাওয়া যায় যেমন রসুন হতে পারে আপনার বিবাহিত জীবনের নতুন বন্ধু।


প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
তবে যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে।

রাতে শুবার সময় ইসুপগুলের ভুসি পানি দিয়ে খাবেন ৭ দিন খান ফলাফল নিজেই পাবেন। কোথায় আছে দাদা খেলে দাদি খুশি নানা খেলে নানি খুশি এরেই নাম ইসুপগুলের ভুসি।
 নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে এমনিতেই পুরুষের বীর্য ঘন হয়ে থাকে। যেমন প্রতিদিন দুধ, ডিম, মধু গ্রহণ করলে সাধারণত আর কোনো কিছুরই দরকার পড়ে না। অনেকে আবার সরাসরি ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেন। তারও কোনো দরকার আছে বলে ডাক্তাররা মনে করেন না। কারণ পুরুষের বীর্য উত্পন্ন হয় সরাসরি তাদের খাবার থেকে।
 আর যদি কিছু খেতেই মনে চায় তাহলে “শিমুল মূল চূর্ণ” এবং “শিলাজুত” প্রতিদিন ১ চামচ পরিমান সকালে পানিতে মিশিয়ে সপ্তাহ বা ১০ দিন খেতে পারেন। এতেই কাজ হয়ে যাবে। “শিলাজুত” আগের দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এগুলো প্রাকৃতিক। হোমিওপ্যাথিতেও বীর্য ঘন করার দারুন কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলির কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং সারা বছরই আপনি খেতে পারবেন। কিন্তু আমরা রোগ-ব্যাধি ছাড়া কাউকেই কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়ানোর পক্ষপাতি নই।
ধন্যবাদ।

প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমানোর গোপন ফর্মুলা

বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কত শত ডায়েট কত শত ব্যায়াম কত কিছুই না করা হল। কিন্তু কোন কিছুতে তেমন কোন লাভ হল না। আপনি কি জানেন একটি মাত্র উপায়ে প্রতিদিন ১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব! এমন একটি ডায়েট ড্রিংকের কথা জানা যায় .dailynutritionnews.com, dietoflife.com, explicitgists.com এবং healthydietaffair.com থেকে।


বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে লেবুর রস খুব দ্রুত শরীরের মেদ কাটতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি একদিনে ১ কেজি ওজন কমিয়ে থাকে। লেবুর রস প্রাকৃতিক অস্ত্র যা দেহের চর্বি পুড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এটি দেহের বিষাক্ত টক্সিন দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
যা যা লাগবে
৮ কাপ পানি
৬টি লেবুর রস
১/২ কাপ মধু
১০ টি পুদিনা পাতা
কয়েকটি বরফ কুচি
যেভাবে তৈরি করবেন
১। পানি হালকা গরম করে নিন। খুব বেশি গরম করবেন না।
২। পানি, লেবুর রস, মধু, পুদিনা পাতা, সব একসাথে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
৪। কয়েক ঘণ্টার পর বের করে পান করুন।
৫। এক কাপ পানি একটি বরফ কুচি দিবেন এর বেশি না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা শরীরের শক্তি হ্রাস করে থাকে।

কখন খাবেন
• প্রতিদিন নাস্তা খাওয়ার আগে এক গ্লাস লেবুর পানি খান। সকালের নাস্তায় খাবেন সালাদ এবং ফল।
• সকাল ১১ টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খাবেন সাথে অল্প কিছু ভাজা বাদাম খেতে পারেন।
• দুপুরের খাবারে একটি ডিম সিদ্ধ এবং অলিভ অয়েল ও আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে লেটুস সালাদ খাবেন।
• বিকেল ৪টায় আরেক গ্লাস লেবু পানি খান। এর সাথে আপনার পছন্দের কোন ফল খেতে পারেন।
• রাতের খাবারে এক টুকরা মাছ বা মাংস খেতে পারেন। তার সাথে সালাদ খেতে পারেন।
• রাতের খাবারের ২ ঘন্টার পর আরেক গ্লাস লেবু পানি পান করুন।
এটি ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। তবে আপনি যদি শরীরের টক্সিন উপাদান বের করতে চান তবে দিনে কয়েকবার লেবু পানি খেলে চলবে।
লেবু পানির এই ড্রিংকটিকে “Beyonce’s Diet” বলা হয়ে থাকে। কারণ সুপার স্টার বিয়ন্সে এই ড্রিংকটি পান করে ৩৮ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছিলেন।

এক কাপ আদা পানি কমিয়ে দিবে কোমরের মেদ

পেটের মেদ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। পেটের সাথে সাথে কোমরেও মেদ জমে থাকে। কোমরের মেদ সাধারণত ব্যায়াম ছাড়া কমানো সম্ভব হয় না। ব্যস্ত এই নগরজীবনে ব্যায়াম করার মত সময় সবার হয়ে উঠে না। এই কোমরের মেদ কমানোর জন্য পান করতে পারেন আদার তৈরির এই জাদুকরী পানীয়টি।
 সারা বিশ্ব জুড়ে আদা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত। পুষ্টি সমৃদ্ধ এই উপাদানটি কোমরের মেদ কমানোর পাশাপাশি বমি বমিভাব, পেশী ব্যথা, ডায়ারিয়া, মাইগ্রেন, বাত, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ আরও অনেক রোগের প্রতিষোধ হিসেবে এটি কাজ করে থাকে। এটি রক্তে সুগার লেভেল হ্রাস করে রক্ত চলাচল বজায় রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়া ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলতে সাহায্য করে আদা। এই আদা দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ডিটক্স। এটি কোমরের মেদ কাটানোর পাশাপাশি  অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারী পেয়ে যাবেন।

যা যা লাগবে:
  • ১.৫ লিটার পানি
  • আদা কুচি


যেভাবে তৈরি করবেন:
১। ১.৫ লিটার পানি চুলায় দিন, এর সাথে ২ ইঞ্চি লম্বা আদা কুচি মিশিয়ে নিন।
২। এটি কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
৩। ঘন হয়ে গেলে চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আদার রস।
৪। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫। প্রতিদিন এক কাপ করে এই আদার রস পান করুন। কমপক্ষে ছয় মাস এটি পান করুন।

কার্যকারণ:
আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বমি বমি ভাব দূর করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি, ঠান্ডা, কফ দূর করে থাকে। শুধু তাই নয়, এটি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আদার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান মেদ হ্রাস করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।

প্রতিদিন এক কাপ করে ছয় মাস এই পানীয় পান করুন। আর পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত কোমর।

খালি পেটে রসুন খওয়ার উপকারিতা

অনেকের ধারণা সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেকে বিশেষ করে দাদী নানীরা মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এত তর্ক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করেছেন খালি পেটে রসুন শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবায়েটিক তৈরি করে থাকে। যা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণে খালি পেটে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
১। রসুন হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি শুধু রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে না, হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এর পাশাপাশি লিভার এবং ব্লাডার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।






২। পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রসুন বেশ কার্যকরী। সকালে খালি পেটে রসুন নার্ভ সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
৩। রসুন আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি পাকস্থলিতে উৎপাদিত অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস, হতাশা, ট্রাইপাস, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে দেহের সার্বিক উন্নয়ন সাধান করে থাকে।
৪। পেটের নানা অসুখ ভাল করার পাশপাশি রসুন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেও রসুন বেশ কার্যকরী।
৫। যক্ষা, নিউমিনিয়া, ব্রংকাইটিস,দীর্
ঘস্থায়ী শ্বাসনালী শ্লেষ্মা, হাঁপানি, অ্যাজমা, হুপিং কাশি সর্বোপরি শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে রসুন। তবে হ্যাঁ অব্যশই খালি পেটে খেতে হবে রসুন।
যেভাবে খাবেন:
সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে দুই কোয়া রসুন খেয়ে ফেলুন। তারপর পানি পান করুন। রসুন চিবিয়ে খান।
সতর্কতা:
১। রসুন খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন রসুনে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা। রসুনে অ্যালার্জি থাকলে কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে রসুনের স্যাপ্লিমেন্টরী খেতে পারেন।
২। রসুন খাওয়ার পর যদি ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়, অথবা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অথবা মাথাব্যথা শুরু হয় তবে রসুন খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৩। আপনি যদি কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন, তবে রসুন খাওয়ার আগে অব্যশই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

বমির লক্ষণগুলো বোঝা জরুরি

দূষিত খাবার থেকে পাকস্থলীতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হলে বমি হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো গুরুতর রোগের লক্ষণ হিসেবেও বমি হতে পারে। বমির কারণ বুঝতে হলে এর রং এবং আনুষঙ্গিক লক্ষণ যাচাই করা প্রয়োজন।
সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, অস্বস্তি বা বমি বমি ভাব ছাড়াই হঠাৎ করে বমি শুরু হলে একে খাদ্যনালির প্রদাহ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে না। আর বমির সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা থাকলে তা অনেক সময় মস্তিষ্কের ভেতরের চাপ বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। তবে বমি বা ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। বমির পাশাপাশি তীব্র পেটব্যথা হলে পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয় বা অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ নির্ণয়ে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। আলসার থাকলেও এমন পেটব্যথা হতে পারে।
বমি শুরু হওয়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাথায় আঘাতের ইতিহাস, বমির পাশাপাশি অসংলগ্ন আচরণ বা কথাবার্তা, বোধশক্তি বা চেতনা কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিলেই ভালো হবে। বমির রং সবুজ বা হলুদ হলে (বিশেষ করে শিশুদের) অথবা লাল বা বাদামি কিংবা রক্তবমি হলে, বমির সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বর থাকলে সেগুলোকে খারাপ লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। প্রস্রাবে সংক্রমণ হলেও বমি হয়, এর সঙ্গে থাকে জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা তলপেটে ব্যথা। ক্রমাগত বমি, যদি তা পরিমাণে অল্পও হয় এবং পানিশূন্যতার বিভিন্ন লক্ষণ দেখা গেলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়াই ভালো।
কী করবেন?
* গুরুতর কিছু না হলে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকুন। বমি হওয়ার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাবেন না।
* বমি হওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর সামান্য পানি বা ওরস্যালাইন পান করুন। পেটে সহ্য হলে পানি বা স্যালাইনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ান। তবে আবার বমি হলে ১৫-২০ মিনিট খাওয়া বন্ধ রাখুন। অন্তত ছয় ঘণ্টা তরল খাবার চালিয়ে যান। এরপর কলা, ভাত, আপেলের চাটনি আর টোস্ট বিস্কুট খেতে পারেন। এগুলো সহজপাচ্য খাবার।
* নারীদের বারবার বমি বা বমি ভাব হলে শেষ মাসিকের তারিখটি কবে ছিল ভেবে দেখুন।

কখন কনডম ছাড়া যৌন মিলন করলেও সন্তান হবে না?

ওষুধ সেবন, কিংবা কনডমসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যেকোন পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জম্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি ভালভাবে জানা থাকলে এর জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না। মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual cycle) প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period) হিসেবে ধরা হয়। এই দিবসগুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবে না। এই নিরাপদ দিনগুলো প্রকৃতি গতভাবেই নির্দিষ্ট।
তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো। এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়।

এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ওই দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদদিন। আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।
ধরুন, আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিনগুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম করতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিকচক্র।
তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস। ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাঁধ সঙ্গম করতে পারবেন। তাতে সন্তান গর্ভধারণের সম্ভাবনা নাই। তবে এই উদাহরণে শুধু ১০ ম থেকে ২০ ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাঁধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা আছে।
উপরে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে। তবে হিসাবের জন্য খুব সহজ পদ্ধতি হল, মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন আর মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাঁধ সঙ্গম করা নিরাপদ। মানে, এই সময় মিলন করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা নাই।
জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়। এছাড়া প্রাকৃতীক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারণত মাসিকের হিসেবে গণ্ডোগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও মিলনের সুযোগ নেয়া বা ঝুঁকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া ইত্যাদি কারণে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটাকে Programmed সেক্স বলে একে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্র্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।

রোগ সারাতে কালিজিরার গুণ

কালিজিরাকে বলা হয় সর্ব রোগের মহৌষধ। প্রচলিত আছে মৃত্যু ব্যতিত এটি সব রোগই
সারাতে পারে। তাই এটাকে খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। জ্বর, কফ, শরীরের ব্যথা
দূর করার জন্য কালিজিরা উপকারিতার শেষ নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম কালিজিরায় পাবেন
৩৪৫ কিলোক্যালরি, ফ্যাট ১৫ গ্রাম, সোডিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৬৯৪
মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫২ গ্রাম, প্রোটিন ১৬ গ্রাম। এসব উপাদান নানা ভাবে
আমাদের সুস্থ রাখতে দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কালিজিরার
গুণ সম্পর্কে আরও কিছু খবর।

১। প্রতিদিন মাত্র দুই গ্রাম করে কালিজিরা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে টাইপ টু
ডায়বেটিসের আশঙ্কা কমে।

২। দিনে দুইবার করে কালিজিরার তেল খাওয়ার অভ্যাস উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে
সক্ষম। এই অভ্যাসে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দুর করা সম্ভব।

৩। কালিজিরায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন ক্যানসার পর্যন্ত রোধ করতে দারুণভাবে
সহায়তা করে। এছাড়াও কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপকার করে থাকে।

৪। কালিজিরা মেধার বিকাশে এটি দারুণ কাজ করে। কালিজিরা নিজেই একটি
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

৫। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে। জিহবা,
তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। তবে পরিমাণের অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে বদহজম হতে
পারে।

৬। কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘকাল। কাজ করার
শক্তিকে বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ।

৭। দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্যও কাজ করে। তাই প্রতিদিন অল্প করে কালিজিরা
ভাত-রুটির সঙ্গে বা কাঁচা খেতে পারেন। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান।

৮। পেটের যাবতীয় রোগজীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান,
তাদের জন্য কালিজিরা উপযুক্ত পথ্য।

৯। যাদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের পানি জমতে
বাধা দেয় কালিজিরা।

১০। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

১১। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগজীবাণু
ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ হয় না।

সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে কেন?

সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে। সম্প্রতি এর কারণ বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। পুরুষেরা ভোরে যৌনতায় আগ্রহী হলেও নারী এ সময় যৌনতায় সেভাবে আগ্রহী থাকে না। এর মূল কারণ টেস্টোস্টেরন হরমোন বলে মনে করছেন তারা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।


সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে কারণ

রাতে যখন নারী ভালোবাসার পরিপূর্ণ স্বাদ নিতে চান তখন পুরুষ ঘুমে ঢুলতে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এর কারণ হলো নারী ও পুরুষের হরমোনের পার্থক্য। আর এ পার্থক্যের কারণেই উভয়ের দেহঘড়ি একত্রে চলে না। গবেষকরা এক্ষেত্রে কয়েকটি সময়ের বর্ণনা করেছেন, যে সময়ে নারী-পুরুষের হরমোনের পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।

ভোর ৫টায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন (Testosterone) হরমোন সর্বাধিক থাকে। দিনের অন্য সময়ের তুলনায় এ মাত্রা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এ সময় নারীও টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন করে। তবে তা অতি সামান্য মাত্রায়।

সকাল ৬টায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন Testosterone হরমোনের মাত্রা কমে না। ঘুম যত লম্বা হয় হরমোনটির প্রভাবও তত বেশি হয়। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) জানিয়েছে, পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুম পুরুষের হরমোনটির মাত্রা ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
সকাল সাতটায় যদি কোনো পুরুষ ঘুম থেকে উঠে তখন তার দেহে যতখানি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা থাকে সর্বাধিক। কিন্তু একজন নারীর সে সময় সবচেয়ে কম থাকে। অন্যদিকে দিন শেষে পুরুষের এ হরমোনটির মাত্রা সবচেয়ে কমে যায় আর নারীর সবচেয়ে বেশি থাকে। আর এ কারণেই সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে

হস্তমৈথুন করলে যে সব মারাত্বক সমস্যা হতে পারে

হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে তা ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। আপনি অনলাইন সার্চ করলে হস্তমৈথুন অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে ভুরি ভুরি উপদেশ বাণী পেয়ে যাবেন। বাস্তব ক্ষেত্রে যার সবগুলিই অকার্যকর। তারপরও তাদের উপদেশ বাণীর যেন কোনো শেষ নেই।

অনেকেই শীতপ্রধান দেশের বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের উপমহাদেশের অর্থাৎ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেলায় চালাতে চান। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাস্তবতা উপলগ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের ১০-১২ বছরের মধ্যেই যৌন পরিপক্কতা চলে আসার কারণে তারা অনেকেই তখন থেকেই হস্তমৈথুন করা শুরু করে এবং বিয়ের সময় অর্থাৎ বয়স ২০-৩০ বছর হওয়ার পর দেখা যায় তারা নানা প্রকার যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছেন।
কিন্তু শীতপ্রধান দেশগুলির বিষয়টা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ উল্টো। ঐসব দেশে ছেলেদের যৌন পরিপক্কতা আসে অনেক দেরিতে, অনেকের ১৬-১৮ বছর হয়ে যায়। তাছাড়া তারা যে কারো সাথে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকার কারণে হস্তমৈথুন ততটা করে না। তাই তারা এর জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় না বললেই চলে। তাই আপনাদের অবশ্যই এ বিষয়টা বুঝতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে যে থিওরি তাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন তা আমাদের দেশের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা যদি আমাদের দেশের ছেলেদের মত হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে এটা করতে থাকত তাহলে তারাও এর কুফল গুলির সম্মুখীন হত।
পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :-
পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :-
১। পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।
২। আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।
৩। অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। )
৪। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।
হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয় :-
হস্তমৈথুনের ফলে পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ – বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় । মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয় । আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয় Leakage of semen । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে কষ্ট হয়। তাই এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে ট্রিটমেন্ট নিন। দেখবেন অল্প কিছু দিনের চিকিত্সায় মন থেকে হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর হয়ে আপনি চিরদিনের মত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

মজাদার চিংড়ি পিঁয়াজু



চিংড়ির নাম শুনলে অনেকের জিবে পানি চলে আসে। আর তা যদি হয় মজাদার চিংড়ি
পিঁয়াজু, তাহলে তো কথায়ই নেই। কিন্তু জিবে জল এলে শুধু হবে না। এটি কিভাবে তৈরি
করতে হবে এবার তা জেনে নিন।

*যা যা লাগবে*

চিংড়ি মাছ লেজসহ এক কাপ, মুসুরির ডাল আধ কাপ, মটর ডাল আধ কাপ, পিঁয়াজ কুচি ৪টি
বড়, চার থেকে পাঁচটি কাঁচা মরিচ কুচি, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা
চামচ, লবণ স্বাদ মতো, খাওয়ার সোডা একচিমটি।

*যেভাবে করতে হবে*

এবার সব একসঙ্গে করে মাখিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর চিংড়ি মাছের লেজ বের করে ফেলুন।
সেই সঙ্গে বাকি মাছে ডাল বাটা লাগিয়ে শুধু তেলে লাল করে ভেজে নিন। এবার গরম
গরম পরিবেশন করুন মজাদার চিংড়ি পিয়াজু।


কিছু স্বাস্থ্য টিপস যা মানলে আপনি উপকৃত হবেন


১. কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন, কালা দাগতো উঠবেই সাথে ঠোটে গোলাপী ভাব আসবে।

২. কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুর খোসায় চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষুন,চলে যাবে।

৩. ব্রনের উপর রসুনের কোঁয়া ঘষে নিন ,তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে।

৪. পায়ের গোড়ালী ফাটলে, পেয়াজ বেটে প্রলেপ দিন। ক্রীম কিংবা স্ক্রাবের ঝামেলায় যেতে হবেনা।

Weight Loss করার জন্য খান ৫টি খাবার

Weight Loss করার জন্য খান ৫টি খাবার Top 5 foods যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ওজন কমানোর বিষয়টা বেশ গোলমেলে। সকলের জন্য সব পদ্ধতি কাজ করে না, সবাই একই পদ্ধতিতে ওজন কমাতে পারেন না। কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরের চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে উপকারী এইসব খাবার সম্পর্কে জানা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।
কারো এক রকম ডায়েটে কাজ দিলে অন্য কারোই আবার সেটায় ওজন বাড়ে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও তাই। তাছাড়া লিঙ্গ ও বয়স ভেদেও ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে আছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবে রয়েছে এমন কিছু উপায়, যেটা অবলম্বন করলে যে কারো ওজন কমতে বাধ্য।

Weight Loss করার জন্য খান ৫টি খাবার

(1) Grape (আঙুর)
ওজন কমাতে আঙুর ম্যাজিকের মতো কাজ করে | এর মধ্যে থাকা phyto chemicals শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমায় | ক্যালোরিও কমে | ফ্যাট জমতে দেয় না | meal-এর আগে অল্প আঙুর বা সারা দিনে তিনবার grape juice খেলে ওজন কমবেই কমবে |
(2) Cinnamon (দারচিনি)
Quarter teaspoon of cinnamon- অনেক benefit | রোজ খেলে Blood Sugar, Cholesterol, Triglyceride-এর level কম করে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে | ব্রেকফাস্টেও সামান্য পরিমাণে খেতে পারেন |
(3) Chili peppers (লাল লঙ্কা)
খুব ভালো weight-loss boost | ব্রেকাফাস্টে Spicy Egg-white Omelet বা Scrambled Egg-এ red chili মিশিয়ে খান | লঙ্কায় থাকা capsaicin আপনার appetiteকে suppress করবে |
(4) Fennel Tea (মৌরির চা)
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Potassium, Magnesium ও Calcium | এছাড়া Vitamin B ও C | Fennel Tea খিদে কমায় ও metabolism boost করে, যা সত্যিই ওজন কমাতে সাহায্য করে |
(5) Salad
রোজ main meal খাওয়ার আগে low calorie salad খেলে ওজন কমানো কেউ আটকাতে পারবে না | তবে salad-এ veg item-এর সঙ্গে কখনই fatty dressing নেবেন না | বরং সামান্য Olive Oil ও Balsamic Vinegar স্যালাডে মিশিয়ে খান |

Top tips to lose weight

Eat regularly:


খিদে পেলেই খান তবে ভাজাভুজি নয় | Good snacks হলো Vegetable Sticks and Low Fat Chips, Scones, Sandwiches, Toast, Smoothies and Low Fat or Diet Yogurt.

Take a walk at lunch time:

কাজটা সামান্য কিন্তু benefit অনেক | অফিসে বা বাড়িতে যেখানেই থাকুন lunch-এর আগে সামান্য হেঁটে নিন বা exercise করুন|

Go shopping with a list:

List করে food shopping করুন | সময় ও শরীর দুই-ই বাঁচবে | অযথা Chocolate counter-এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন না | এতে tempted হবেন্| result হবে weight gain | এর থেকে ভালো ভরা-পেটে shopping করা |

Don’t be conned by marketing:

অনেক Packed Food-এর উপর লেখা থাকে ‘low fat’ | এর মানে কিন্তু Low Calorie নয় | Dessert Food-এ low fat থাকলেও অনেক সময় sugar amount বাড়িয়ে দেয় | তাই কী খাচ্ছেন তা আগে জেনে নিন |

Get Support:

যদি long term-এ ওজন কমাতে চান তবে আপনার surrounding support খুব জরুরি | আপনার diet, lifestyle যদি আরও এক family member মেনে চলে তবে আপনার পক্ষে এসব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, কারণ আপনিও যা করছেন তাতে morale support হবে |
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা ৭ ধরনের খাদ্যোপাদানকে ‘ম্যাজিক ফুড’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, Weight Loss করার জন্য ৫টি খাবার খেলে ওজন অবশ্যই কমবে।


ছোট ব্রেস্ট যেভাবে বড় করবেন

অনেক মেয়েই আমাকে প্রশ্নটি করেছেন যে ছোট ব্রেস্ট কিভাবে বড় করব?? অনেকে আবার আরও বিপদে পড়ে বলেছেন “ আপু এতো ছোট দুধ দিয়ে হ্যাজবেন্ডকে খুশী করতে পারছিনা,প্লিজ হেল্প”…যাই হোক সময়ের স্বল্পতা এবং প্রশ্নের ধরন একি হওয়ায় সবার প্রশ্ন পোস্ট করা গেলনা। কিন্তু সবার প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের মাধ্যমে দিয়ে দেয়া হল।আশা করি আপ্নারা সবাই কিছুটা হলেও উপকার পাবেন। আপ্নাদের সবার সুন্দর এবং আকর্শনীয় ফিগার কামনা করছি।
১/ আপনাকে মানসিক ভাবে ওনেক দৃঢ় হতে হবে। মন মরা হয়ে বসে থাকলে স্তনের অবস্থা আরও খারাপ হবে।আপনার বয়স এবং স্বাস্থ্য বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্তন এমনিতেই বড় হবে।তাই নিজেকে কিছুটা সময় দিলে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক ভাবেই বড় হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বুকের কিছু ব্যায়াম আছে, যেমন বুকডন, বেঞ্চপ্রেশ।এছাড়া এগুলো বেয়াম কোন ইন্সট্রুমেন্ট ছাড়া খালি হাতেও করতে পারেন।

২/ ব্রেস্টে নিয়মিত ম্যাসাজ করলেও এটা ধীরে ধীরে বড় হয়। আবার নিয়মিত সেক্স করলে ও তা বড় হয়(বিবাহিতদের জন্য)। তবে এসময় নিজের অরগাজমের উপর নজর দিতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে সেক্স করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজেকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে পুরো একটিভ থাকতে হবে। এতে দেহে হরমোনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যা ব্রেস্ট বড় করতে সহায়তা করবে।

৩/ মেয়েদের জন্য বুকের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম আছে, যেমন বেঞ্চ প্রেস, বাটারফ্লাই প্রেশ, পুশ-আপ (বুকডন)- নিয়মিত এগুলো করে স্তনের টিস্যুতে ব্লাড ফ্লো বাড়াতে হবে। এতে বুকের পেশিগুলো সঠিক সেপে এসে স্তনকে সুগঠিক করবে। এটা অনেকটা বডিবিল্ডাররা যেভাবে শরীরের পেশি বৃদ্ধি করে, সেভাবে কাজ করবে।দিনে বেশ কয়েকবার দুইহাত দুইদিকে প্রসারিত করে আবার এক করুন।

৪/ স্বামী বা পার্টনার কে বলবেন দুইটাতেই সমান গুরুত্ব দিতে।সে যেন একটা স্তন নিয়ে মেতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৫/ হাত ঘষে গরম করে দুই হাত স্তনের নিচে হালকা চেপে ধরে ডানহাত ঘড়ির কাটার দিকে আর বাম হাতে ঘড়ির কাটার উলটা দিকের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০ থেকে ৩০০ বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। মাস খানেকের মধ্যে স্তনের সাইজ কিছুটা বাড়ার কথা। সেই সাথে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে, রাতে অনেক ঘুমাতে হবে।

৬/ গোসল করার সময় হাত দিয়ে দুধের চারপাশ ১০/১৫ মিনিট মাসেজ করবেন। আপনার শরীর যদি চিকন হয় তাহলে ২/৩ মাস সুষম খাদ্য খায়ে শরীরটা ঠিক করেন, দুধ, ডিম, ফল একটু বেশি খেলে উপকার পাবেন…চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। শরীর বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্তন(দুধ) ও বড় হবে। সাথে ব্যায়াম করবেন ব্যায়াম না করেল শরীর আবার বেশি মোটা হয়ে যেতে পারে। শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন। ঠিক মত ঘুমাবেন। মাসেজ টা চালিয়ে যাবেন। যদি পারেন তাহলে দিনে দুই বার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আলতো ভাবে টিপবেন বা মাসেজ করবেন।আর হ্যা এইসময় কিন্তু সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করতে হবে। নইলে ব্রেস্ট ঝুলে যেতে পারে।
৭/ সর্বশেষ অপশন হলো- ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট, সার্জারী করে… যা ন্যাচারাল নয় বলে না করাই ভালো।


রাতে আরামে ঘুমানোর জন্য ফাটাফাটি Health Tips

সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে আগে সবাই একবার বাথরুম সেরে ফেলেন। খুব দরকার না হলে বা ঘুম নিরবচ্ছিন্ন হলে বাকি ছয়-সাত ঘণ্টায় আর বাথরুমে যাওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু কারও যদি নিয়মিত রাতে ঘুম ভেঙে দু-তিনবার বাথরুমে প্রস্রাব করতে যেতে হয়, তবে তা বিরক্তির উদ্রেক করে বৈকি।

 সে ক্ষেত্রে কতগুলো স্বাস্থ্য সমস্যার কথাও মনে রাখতে হবে।
  • সন্ধ্যার পর বেশি পানি, চা-কফি ইত্যাদি পান করলে রাতে প্রস্রাবের বেগ হতে পারে বেশি। আবার কিছু ওষুধের কারণেও তা হচ্ছে কি না, লক্ষ করুন।
  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস প্রস্রাব বেশি হওয়ার একটা প্রধান কারণ। ডায়াবেটিস ইনসিপিডাসে (এটি বিরল) সারা দিনে কয়েক লিটার প্রস্রাব হতে পারে।
  • নারীদের গর্ভকালীন সময়ে মূত্রথলির ওপর বাড়ন্ত জরায়ুর চাপ পড়ে। এতে রাতে বারবার প্রস্রাব হয়। একই কারণে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলেও রাতে বারবার বাথরুমে যেতে হয়।
  • প্রস্রাবে সংক্রমণ বা মূত্রথলিতে সংক্রমণ হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালা-ব্যথা থাকতে পারে।
  • বয়োবৃদ্ধ, মেনোপজ-পরবর্তী নারী এবং দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের রোগীদের মূত্রথলির ধারণক্ষমতা কমে যায়। সে ক্ষেত্রে সামান্য প্রস্রাব জমা হলেই বেগ পায়।
  • অনিদ্রার ও মানসিক চাপও বারবার প্রস্রাবের জন্য দায়ী হতে পারে।
এমন সমস্যার ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর বেশি পানি বা পানীয় থেকে বিরত থাকুন। কেউ কেউ রাতে শোয়ার আগে অনেক ওষুধ খান, তাই পানিও খাওয়া পড়ে। চেষ্টা করুন রাতের খাবারের আগেই ওষুধগুলো খেয়ে ফেলতে। কোনো ওষুধের সময়সূচি পাল্টাতে হবে কি না, চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না বা প্রস্রাবে কোনো সংক্রমণ আছে কি না, তা-ও দেখে নিন।

বীর্য বেশিক্ষণ ধরে রাখার উপায়

ছেলের যদি করার সময় ১০মিনিটের মাথায় বীর্যপাত হয়, সেটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক । একে দ্রুত বীর্যপাত বলা যাবে না । এমনকি ৬-৭ মিনিট ও স্বাভাবিক বলা হয় । আপনি তখনি আপনার এ বিষয় টি নিয়ে চিন্তা করবেন যখন আপনার তার থেকেও কম অর্থাৎ ১-৫ মিনিটে বের হয়ে যাবে । কেবল তখনি আপনি বলতে পারবেন যে আপনার এ সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে।
দাম্পত্য জীবনে অসুখী পুরুষের আজকাল অভাব নাই। বর্তমানে অনেক পুরুষ মিলনে স্থায়ী করতে পারেন না। বহু কারণ থাকতে পারে এর পিছনে। যৌন মিলন নিয়ে যারা মানসিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তাদের জন্য আজ কিছু টিপস দিচ্ছি আশাকরি আপনার যৌন জীবনের জন্য টিপসগুলো অদ্বিতীয়।
প্রথম প্রথম সব মানুষের ক্ষেত্রেই অনভিজ্ঞতা, লজ্জা, নিজের উত্তেজনা কে নিয়ন্ত্রন করতে না পারা ইত্যাদির কারনে এমন টা হতে পারে। চিন্তার কিছু নেই। সময় নিন, তাড়াহুড়া করে মিলিত হবেন না। এই মুহূর্তে আপনার চিকিৎসকের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনার যে সমস্যা, সেটা খুবি স্বাভাবিক।


চিন্তার কোন কারণ নেই । মূল আলোচনার আগে আর একটি প্রচলিত ধারণার কথা বলা যাক ।অনেক মানুষ ই আছেন যারা মনে করেন তার অধিকাংশ সমস্যার কারণ মাস্টারবেশন । এটি ভুল ধারণা । মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সম্পুর্ণ স্বাভাবিক একটি ব্যপার । অতিরিক্ত না করলে এতে আপনার কোন দিক দিয়েই কোন ক্ষতি হবার চান্স নেই ।এই কথাটি বলার কারণ খুব ই সরল । কারণ অনেকেই মনে করে তার দ্রুত বীর্যপাতের আসল কারণ সে অনেক মাস্টারবেট করে । এখানে একটি থিওরি আছে । বোঝানোর চেষ্টা করছি । ধরুণ আপনি বাথরুমে গেলেন মাস্টারবেশন করতে । আপনি যদি ২০ মিনিট ধরে করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাসা থেকে ডাকাডাকি হবে , না হলেও আপনার অবচেতন মন ই আপনাকে তাড়া দেবে । এজন্য যা হয় তা হল , অবচেতন ভাবেই ছেলেরা মাস্টারবেট করতে করতে দ্রুত কিভাবে বের করা যায় সেটা শিখে ফেলে । পরে সেক্স করার সময় মনের অজান্তেই হয়তো পেনিসের তার সেই স্পেশাল জায়গা অথবা তার সে বিশেষ স্টাইল সে ধরে ফেলে , ফলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় ।
এখন , যাদের আসলেই দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি করবেন ? কারণ অবশ্যই , আপনার গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ আপনার পেনিস মুখে নিল , আর আপনার বের হয়ে গেল কিছু করার আগেই , অথবা ধরলো আপনার পেনিস , সাথে সাথে বের হয়ে গেল , অথবা আপনার গার্লফ্রেন্ড বা পার্টনার হয়তো উত্তেজক কিছু করলো আপনার সাথে , তখনি বের হয়ে গেল । এগুলো হল সমস্যা। সলিউশনে যাই এবার আমরা ।একটি ব্যপার স্বাভাবিক । ধরুন আপনি অনেকদিন করেন না , আপনার পার্টনারের সাথে অনেকদিন পর করতে গিয়ে উত্তেজনায় দ্রুত বের হয়ে আসলো স্পার্ম । এটি স্বাভাবিক , এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । এটি আপনার অক্ষমতা নয় । এবার আসুন দেখি যাদের দ্রুত বের হয়ে যায় তারা কি কি করতে পারেন …
-শরীর টাকে আপনার পার্টনারের শরীরের উপরে সমান্তরালে রাখার চেস্টা করুন।শরীরের পুরো ভার আপনার পার্টনারের উপর দিয়ে দিন।ওই অবস্থাতেই খুব রিলাক্স ভাবে আপ ডাউন করুন।মনে রাখবেন যদি শরীর আলগা করে আপ ডাউন করতে যান তবেই কিন্তু আউট হয়ে যাবে।
– হাতের ওপর জোর বাড়ানো । অনেক সময় দেখা যায় ছেলেরা করার সময় সব বা প্রায় সব ভর পেনিস এই দিয়ে থাকে , এতে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে তাই হাতে জোর বাড়াতে হবে ।
* মিলনের আগে অবশ্যই মন শান্ত রাখতে হবে, কোনভাবে নিজেকে উত্তেজিত কার যাবে না।মনে আজেবাজে চিন্তা আনা যাবে না।মেরে রাখবেন যৌন মিলন ক্ষণস্থঅয়ী হওয়ার মূল কারণ শারীরিক ও মানসিক দিন দিয়ে অস্থিরতা অনুভব করা।
* সকল প্রকার মানসিক, শারিরীক অস্থিরতা বা চাপ কমিয়ে নিজেকে সহজ করুন।
– এক পজিশনে বেশিক্ষণ না করে পজিশন বদলে বদলে করতে হবে ।
– একটি পদ্ধতি হল একবার বের করে দেয়া । আপনি আপনার স্পার্ম পার্টনার কে দেখিয়ে তার গায়ে অথবা অন্য কোথাও সেক্স এর আগেই বের করুন একবার। সে হর্নি হবে দেখে । এবার পেনিস টা ভালমত পানি দিয়ে ধুন । এবার ২মিনিট ব্রেক এর পর আস্তে আস্তে আবার কিসিং শুরু করুন । ১৫মিনিটের মাথায় আবার ঢুকাতে সক্ষম হবার কথা ।
* কনডম ব্যবহার করবেন। কারণ কনডম ব্যবহার করলে বীর্যপাত দেরিতে হয়।কনডম ইউজ করলে পুরুষাঙ্গে শির শির ভাব কম হয়, যার কারণে বীর্যপাত হতে দেরি হয়।
*যেকোন প্রকার নেশাজাত দ্রব্য পরিহার বাধ্যতামূলক। অনেকদিন যাবৎ য্যেন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এবং যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য তামাকজাত দ্রব্য, মদ, অণ্রান নেশাজাত ওষুধ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
– ঢোকানো অবস্থায় যদি আপনার মনে হয় যে এখনি বের হয়ে আসছে তখন আর সোজা ধাক্কা না দিয়ে ঘোরানো শুরু করুন । হাত দিয়ে পেনিস ধরবেন না ।
* যৌন মিরনের কক্ষেত্রে অবশ্যই ফোর প্লে পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।প্রয়োজনে বেশি সময় নিয়ে  ফোর প্লে করবেন।
* বেশিক্ষণ এক আসণে যৌন মিলন করবেন না। ঘন ঘন আসন পরিবরর্তন করুন।নতুনত্ব যেমন মনোযোগ রোমাঞ্চিত করবে তেমনি মিলন দীর্ঘস্থায়ী করবে।তবে সঙ্গীর দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।
– একটি অভ্যাস প্র্যাকটিস করুন বাসায় । নিজে  কে উত্তেজিত করে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ে যান , এর পর আবার স্বাভাবিক হোন বের না করে । এটি সপ্তাহে একবারের বেশি না করাই ভাল কারণ এতে দেহের ক্ষতি হতে পারে ।
* যৌন মিলনকালে সঙ্গীর আধিপত্যে কখনো লজ্জাবোধ করবেন না।
* যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য শ্বাসপ্রশ্বাস ধীরে ধীরে নিন।এত করে আপনার পরিশ্রম কম হবে।যার জন্য আপনার শরীর দীর্ঘক্ষণযৌন মিলনের জন্য অটুট থাকবে।
আশা করি এসকল ব্যপারে সতর্ক থাকলে আপনার সেক্স লাইফ হবে আরো মজার। Health Care এর সকল Health Tips গুলো মেনে চলুন। তাহলে খুব সহজেই আপনি Healthy Life Lead করতে পারবেন।


Slim Figure পাওয়ার গোপন রহস্য জেনে নিন

Slim Figure পাওয়ার গোপন রহস্য কে না জানতে চায়? আজকের আয়োজন কিভাবে খুব সহজে Slim Figure পাবেন কিছু tips ফলো করে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকেন, ব্যায়াম কিংবা ডায়েট করার সময় নেই। ফলে হু হু করে বেড়ে চলেছে ওজন! আপনিও কি এই সমস্যায় আক্রান্ত? যদি তাই হয় তবে জেনে রাখুন, সন্ধ্যা ও রাতের সময়টায় মাত্র ৪টি সহজ কাজ করেই কমাতে পারবেন বাড়তি ওজন। বাড়তি কোন সময় লাগবে না, কাজের ক্ষতি হবে না।, কেবল রপ্ত করে নিন কিছু সহজ অভ্যাস। আর এগুলোই আপনাকে খুব সহজে করে দেবে স্লিম ও সুন্দর!
মোটা শরীর নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়ে অহরহ। আর সেই সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য অনেকেই অনেক রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে। কিন্তু যথাযথ প্রকৃয়ায় নিজের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বলেই তাদের অনেকে মোটা শরীর নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ে।
 আজকাল প্রায় কমবেশী সকল নারীই স্বাস্থ্য সচেতন। সকলেই এখন চেষ্টা করেন স্লিম থাকতে, পাশাপাশি নিজের শরীরের নানান অঙ্গগুলো সুগঠিত রাখতে। শরীরের একেকটি অঙ্গ সুন্দর করতে চাই ভিন্ন ভিন্ন ব্যায়াম। ডায়েটিং করে ওজন তো কমানো যায়, কিন্তু এর অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে দেহের সৌন্দর্যের ওপরে।
কিশোর কিশোরি থেকে তরুণ সবাই এখন ছুটছে স্লিম ফিগারের পেছনে। আমাদের অনেকের জীবনেই স্থূলতা বা বাড়তি ওজন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়তি ওজন শুধু শারীরিক নয় বিভিন্ন মানসিক ও সামাজিক সমস্যারও কারণ হয়ে দেখা দেয়। তাই আমরা বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ দেহ আর কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে চাই। এটা সত্যি চাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কার্পণ্য নেই তবে সমস্যা দেখা যায় কাঙ্ক্ষিত সেই গোলে যেতে আমরা যে পথ অবলম্বন করি সেখানে। এটা বলছি এজন্য যে, আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রথম যা করি তা হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ। আমাদের বাড়তি ওজনের জন্য যত শত্রুতা যেন শুধু খাবারের সঙ্গে। কয়েক দিন না খেয়ে থেকে অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে যাই, আর কেউ কেউ এক সপ্তাহেও কোনো পরিবর্তন না দেখে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে আবার আগের মতোই খেতে শুরু করেন। অতএব ফলাফল হয় শুন্য। আসুন প্রথমে তিন মাস টার্গেট নিয়ে চেষ্টা করি ওজন কমানোর। এই তিনমাস একটু কষ্ট হলেও নিয়মগুলো মেনে চলি, তারপর ওজন মেপে দেখি। আসুন আমরা Slim Figure পাওয়ার গোপন রহস্য কয়েকটি টিপস সহজভাবে জেনে নেই: 

১. হালকা নাস্তার অভ্যাস:
আমরা অনেকেই ডায়েট করছি ঠিকই কিন্তু দেখা যায় সন্ধ্যার নাস্তার টেবিলে পেট ভর্তি করে আহার করে ফেলি। সন্ধ্যার নাস্তায় অনেক ভারী খাবার খেয়ে ফেলি। এই বাজে অভ্যাসটির কারণে আপনার ওজন আরও দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার নাস্তাটি হালকাভাবে সেরে নেয়ার। একেবারেই না হলেই না এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনি যদি নাস্তা করার অভ্যাসটি বাদ দিতে পারলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

২. রাতের খাবারের পর অন্যকিছু না খাওয়া :
রাতের খাবারের পর অনেকের অভ্যাস থাকে আরও কিছু খেয়ে ফেলা। অনেকেই খাবারের পরপর মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। এই ধরনের অভ্যাস থেকে থাকলে তা থেকে যত শীঘ্রই সম্ভব নিজেকে মুক্ত করুন। রাতের খাবারের পর আর কিছুই খাবেন না। প্রয়োজনে পানি খেতে পারেন।

৩. হালকা শারীরিক ব্যায়াম:

রাতের খাবারের পর একটু সময় নিয়ে হালকা ধরনের শারীরিক ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন একেবারে রাতের খাবারের পরপর ব্যায়াম না করে একটু সময় বিশ্রাম নিয়ে তারপর ব্যায়াম করুন। এভাবে প্রতিদিন রাতে হালকা ধরনের কয়েকটি ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
৪. তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস:
অনেকেই রাত জাগতে পছন্দ করে। এতে করে রাতে ক্ষুধার প্রবণতা বাড়ে এবং অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে থাকে। আবার রাত জাগার ফলে অযথা শরীর খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই রাত জাগার এই বদ অভ্যাসটি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে। আর তখন স্লিম ফিগার নিয়ে আপনিও থাকবেন অনেক বেশি ফুরফুরে মুডে।
খেতে হবে প্রচুর পানি পান করুন প্রতিবার খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে একগ্লাস পানি পান করুন উচ্চ শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য যেমন—চাল, আলু খেতে হবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে কম ক্যালরিযুক্ত তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন সাধারণ চা বা কফির পরিবর্তে সবুজ চা পান করুন শসা ও ভিটামিন সি জাতীয় টক ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। এগুলো বেশি খেতে পারেন। তিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি বিশেষ করে করলা বাড়তি ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকর মসলাজাতীয় খাবার যেমন: আদা, দারচিনি, কালো মরিচ ওজন কমাতে সাহায্য শীতের সবজি বাঁধাকপি খেলে ওজন কমে কাঁচা বা রান্না যেভাবে ইচ্ছা বেশি পরিমাণে খান খাওয়া যাবে না খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ খেলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে উচ্চক্যালরি ও উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন মিষ্টি শরবত, কোমল পানীয়, সব রকম মিষ্টি, তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনা ফল, ঘি, মাখন, পনির, দুধের সর এসব খাবার যত পছন্দেরই হোক বাদ দিতে হবে রাতে খাবারের পর অনেকেই অতিরিক্ত কিছু খেতে পছন্দ করেন অপ্রয়োজনীয় এ খাবারটুকু একদম বাড়তি ওজন যোগ করে আমাদের শরীরে কোনো সফলতা সেলিব্রেট করার সময় পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে খাবার খাওয়ার প্লান বাদ দিয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন কায়িক শ্রম ব্যায়াম একটি কথা মনে রাখা দরকার, শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণই আমাদের ওজন কমাতে পারে না। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে যদি ৫০০ ক্যালরি কমাতে পারি তাহলে ওজন কমে প্রতিসপ্তাহে আধা কেজি। কিন্তু আমরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটি, সাইকেল চালাই অথবা সাঁতার কাটি তখন দেখবেন ওজন কমছে ২ গুণ। তবে যারা কায়িক শ্রম বেশি করেন তাদের ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই।


সময়ের অভাবে যারা আলাদা করে এক্সারসাইজ করতে পারেন না, তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিন। আর কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও যেতে হলে হেঁটে যান, ওপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়িতে চলুন। এক গ্লাস পানি বা প্রিন্ট দেওয়া কাগজ আনতে কাউকে না বলে নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে নিন। শরীরের বাড়তি ওজন এক সপ্তাহে বাড়েনি, তাই খুব অল্প দিনে কমে যাবে এটা ভাবা ঠিক নয়, দীর্ঘ তিন মাসের পরিকল্পনা করুন, ধৈর্য ধরে চেষ্টা করুন স্বপ্নের সেই হারানো কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেয়ে যাবেন মাত্র তিন মাসে।