পিরিয়ডের সময়ে মেয়েদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হয় কেন?

মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিশেষ কিছু সমস্যার দেখা দেয়। তবে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যাগুলো অনেক মেয়েরা মুখ ফুটে বলতেই চান না কারো কাছে। আপনার যদি এমন কিছু সমস্যা থাকে কিন্তু তা নিয়ে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে না চান, তাহলে এখানেই দেখে নিতে পারেন কিছু সমাধান।
.
* পিরিয়ডের সময়ে যৌনাকাঙ্ক্ষা বেশি হওয়া : পিরিয়ডের সময়ে কারও কারও যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটা একেবারেই দেখা যায় না। এটা এস্ট্রাডিওল নামের একটা প্রাইমারি সেক্স হরমোনের কারণে হতে পারে। প্রোজেস্টেরনেরও কিছু ভূমিকা থাকতে পারে এর পেছনে। পিরিয়ডের সময়ে একজন নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল অনেক কম থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরোনের লেভেল থাকে বেশি। টেস্টোস্টেরোন নারীর যৌনাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে ইস্ট্রোজেন কমে টেস্টোস্টেরোন বেড়ে গেলে তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে।

.
* পিরিয়ডের সময়ে টয়লেট হ্যাবিট পরিবর্তিত হওয়া : এ সময়ে শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিস নামের হরমোন জাতীয় এক ধরণের রাসায়নিক জিনিসে পরিবর্তন আসে। পিরিয়ডের শুরুর দিকে এর কারণে মেয়েদের ইউটেরাস সংকুচিত হতে থাকে এবং এর ফলেই ব্যাথা হতে পারে। প্রোস্টাগ্লান্ডিস আমাদের হজমতন্ত্রেও পরিবর্তন আনে। এর কারণে আমাদের ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হতে পারে। আবার এটা কম হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্ও হতে পারে। তবে পিরিয়ডের সময়ে যদি আপনার মল পিচ্ছিল মনে হয় তাহলে অবশ্য আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়াই ভালো কারণ এটা অন্য কোনো সমস্যার নির্ধারক।
.
* টক্সিক শক সিনড্রোম হওয়া : অনেকেই জানেন, যে পিরিয়ডের সময়ে প্যাড বা ট্যাম্পন সময়মত পরিবর্তন না করলে টক্সিক শক সিনড্রোমের কারণে হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে। এর উপসর্গ হতে পারে বেশ জ্বর, লো ব্লাড প্রেশার, বিভ্রান্তি এবং এনার্জির কমতি। এ থেকে খুব দ্রুতই কোমা, অর্গান ফেইলিওরের মত ভয়ংকর সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এমন কোনও সমস্যা হতে পারে, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
.
* পিরিয়ডের সময়ে মেজাজ ওঠানামা : প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম আসলে অনেকগুলো, এর মাঝে একটি হলো মেজাজের ওঠানামা। হঠাৎ করেই দুঃখ, বিষণ্ণতা, রাগ আপনাকে ছেঁকে ধরতে পারে। আবার আবেগ বেশি হতে পারে, এক মেজাজ থেকে আরেক মেজাজে চলে যেতে পারেন দ্রুতই। এর পাশাপাশি দেখা যায় শরীর ফুলে যাওয়া এবং মাথাব্যাথার মত সমস্যাগুলো। কারণ পিরিয়ডের সময়ে শরীরে থাকা হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারকে প্রভাবিত করে। এসব সমস্যা কম রাখতে আপনার খাদ্যভ্যাস রাখা উচিৎ স্বাস্থ্যকর।
.
* হেভি ব্লিডিং হওয়া : পিরিয়ডের সময়ে সাধারণ একজন নারী ৮-১৪ চা চামচ রক্ত হারান। এতে প্রতিদিন আড়াই টেবিল চামচের মত রক্তক্ষরণ হয়। তবে প্রতি নারীর জন্যই এটা আলাদা হয়। কিন্তু আপনার যদি হেভি ব্লিডিং হয় তবে ভেতরে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। হেভি ব্লিডিং এর পাশাপাশি যদি মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি বা অতিরিক্ত পেট ব্যাথা থাকে তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। রক্তক্ষরণের পেছনে অবশ্য মেনোপজ বা প্রেগনেন্সিরও ভূমিকা থাকতে পারে।
.
* পিরিয়ড সাইকেলে সমস্যা : আপনার স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়ে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, পিরিয়ড যদি মিস করেন, অথবা খুব বেশি সময় ধরে পিরিয়ড চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।

পুরুষদের জন্য --> যৌন দুর্বলতা থেকে বাচতে কি কি করবেন !!

আগেরকার দিনে রাস্তাঘাটে কিছু লোক কবিরাজ পরিচয় দিয়ে কোমলমতি যুবকদের বোকা বানিয়ে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করতো। কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তন হয়েছে। তাই তাদের প্রতারণার ধরনও বদলেছে। 
 
আজকাল ফেইসবুকে নানা প্রকার অশালীন ছবি দিয়ে কোমলমতি যুবকদের মনে দুর্বলতা তৈরী করে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
ভালো করে শুনে রাখুন - এই সব মাদক শ্রেনীর যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। এই সকল ঔষধ খেতে থাকলে আপনি সাময়িক কিছুটা উত্তেজনা অনুভব করবেন ঠিকই কিন্তু কিছু দিন কন্টিনিউ করলেই বুঝতে পারবেন আপনি ধীরে ধীরে এই সকল যৌন উত্তেজক ঔষধের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন এবং এটা ছাড়া আপনি আর যৌন মিলন করতে পারছেন না।

শুধু তাই নয়, তখন দেখবেন আপনার শরীরে আর কোনো যৌন উত্তেজক ঔষধই কাজ করছে না, আর আপনি ধীরে ধীরে কিডনি, লিভার সহ আরো নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রকম ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত রয়েছে।

তাই লোভে পড়ে এই সকল যৌন উত্তেজক মাদক শ্রেনীর ঔষধগুলি লুকিয়ে লুকিয়ে কিনে খেয়ে খেয়ে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না।

মনে রাখবেন পুরুষ মানুষ যৌন শক্তি লাভ করে দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকেই। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার মেনুতে রাখুন আশা করি আপনি যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না।

কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু শ্রেনীর মানুষ নানা প্রকার খারাপ অভ্যাসের কারণে অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যৌন সমস্যায় ভুগে থাকে, সে ক্ষেত্রে সঠিক কারণটি নির্ণয় করে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে কিছু দিনের মধ্যেই যৌন সমস্যা আজীবনের জন্য দূর হয়ে যায়, তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু দেখা গেছে - ঐ অবস্থায় অনেকেই না বুঝে এবং প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেয় - তাতে সমস্যাটি বরং আরো জটিল আকার ধারণ করে। তাই এই সব মাদক শ্রেনীর যৌন উত্তেজক ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং যেকোনো যৌন সমস্যায় অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ একমাত্র হোমিও ট্রিটমেনটেই যৌন সমস্যা মূল থেকে দূর হয়ে যায়।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার দুটি উপায়

নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয়
রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ।
আপনি নারী, বা পুরুষ হোন, একটি সুন্দর
মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আসুন জেনে
নিই ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার দুটি
ঘরোয়া উপায়-
ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল:
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ
যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক
গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ
কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন।
এভাবে পান করতে না পারলে এর
সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ
মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং
হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে
কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে
পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি
সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর
টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে
দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে
গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে
প্রতিদিন একবার পান করবেন।
রূপচর্চায় হলুদ:
শুধু দুধের সাথে নয়, বাহ্যিক
রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার
করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে
কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব
কার্যকর। উপকরণ:
দুধ তিন টেবিল চামচ
লেবুর রস এক টেবিল চামচ
এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
প্রথমে দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো
একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা
পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট
ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো
হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে
গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার
করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে
আলতো করে মুছে নিন। গরম জল দিয়ে
মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা
রোদে যাবেন না।

মোটা হওয়ার টিপস - মোটা এবার হবেনই

 পৃথিবী জুড়ে যেখানে স্বাস্থ্য কমানোর ধুম, সেখানে মোটা হওয়ার টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?
আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্ত খুশিই হবেন। কেননা ওজন বাড়াবার টিপসগুলো তার জন্য এক রকম স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনবে৷ শারীরিকভাবে ক্ষীণকায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায় কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত খাই কিন্তু মোটা হই না কেন।
হতাশার এই মুহূর্ত থেকে মুক্তি দিতে তাদের জন্য দেয়া হলো ১০টি টিপস। যা আপনার ওজন বাড়াতে সহায়ক…
১. ঘুম থেকে উঠে বাদাম ও কিসমিস খান ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই।
রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন৷ সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।

২. প্রচুর শাক সবজি ও ফল খান ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে। যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।
৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে।
স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলেওজন কমে।
৫. খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির স্যালাড।
৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানোর জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলো, কেবল মোটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর। আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তো বটেই
৭. ‘মাড়যুক্ত’ ভাত খান অধিকাংশ মানুষই ভাতের মাড় ফেলে দেয়৷ মাড় ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সঙ্গে।ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের মড় না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চালের মাড় ভাত মজাও লাগবে খেতে।
৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
৯. কমান মেটাবলিজম হার মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
১০. খাদ্য তালিকায় বিশেষ খাবার আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন?উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
এরপরেও যদি ওজন না বাড়ে তাহলে চিকিৎকের সাহায্যে শরীর পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ পাওয়া যায়, তার চিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ, কৃমি, আমাশয় অথবা কোনো সংক্রামক রোগ থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম, নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে।


আপনি কি জানেন, টানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে আক্রান্ত হতে পারেন ডায়াবেটিস-ক্যানসার !

আপনি কি জানেন, টানা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে আক্রান্ত হতে পারেন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি মারাত্মক ক্যানসারে?
কি, অবাক হচ্ছেন? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্যই। গবেষকরা বলছেন, যারা দিনে আটঘণ্টা বা তার বেশি সময় বিরতিহীনভাবে বা খুব কম বিরতিতে একভাবে বসে কাজ করেন বা টিভি দেখেন, তাদের শতকরা ৯০ শতাংশেরই রয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি।

 গবেষণার তথ্যে আরও জানা যায়, যারা দীর্ঘ সময় বসে থাকেন তাদের ৫০ শতাংশ বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসহ রয়েছে ৫৪ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার, ৬৬ শতাংশ জরায়ু ক্যান্সার ও ৩০ শতাংশ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
মায়ো ক্লিনিক, এরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ডক্টর জেমস লেভিন জানান, দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে ব্যক্তির মধ্যে বিপাকীয় উপসর্গসহ প্রায় একগুচ্ছ শারীরিক সমস্যার উন্মেষ হয়। উচ্চরক্তচাপ থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, কোমরসহ অন্যান্য পেশিতে চর্বি জমা হওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।
একটানা বসে কাজ করলে শরীরে যে নয়টি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে:
মাথা
দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী নালীতে সুষ্ঠুভাবে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে স্ট্রোক হতে পারে।
ফুসফুস
একটানা ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা বসে থাকলে দিনে দু’বার রক্ত জমাট বা পালমোনারি এমবোলিজম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর এই জমাট রক্ত যদি মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয় তাহলে ব্যক্তির হতে পারে স্ট্রোক।
বাহু
হাঁটাচলা বা শারীরিক কার্যকলাপ কম হলে উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানিই।
পাকস্থলী
একভাবে বসে থাকলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও বেশিক্ষণ একভাবে বসে থাকলে পেশির রক্তনালীতে থাকা এনজাইম চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয়।
পায়ের পাতা
স্নায়ুর ওপর দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়লে পা অবস হয়ে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।
ঘাড়
সারাদিন পা অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকার ফলে পায়ে পানি জমে। হঠাৎ উঠে দাঁড়ানোতে সব জলীয় পদার্থ ঘাড়ে এসে জমা হয়। এ থেকে ঘাড়ে ব্যথা ও নিদ্রাহীনতা হতে পারে।
হৃৎপিণ্ড
যারা বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন, তাদের অন্যদের তুলনায় দু’গুণ বেশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
পিঠ
টানা বসে থাকায় মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে মেরুদণ্ড সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।
পা
বসে থাকার ফলে পানি পায়ে এসে জমা হয়, অনেক সময় পা ফুলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর হাঁটাহাটি করলে সেগুলো সারা শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান চান? তাহলে কি করবেন?

গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে, তা কি আসলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
 মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।