দ্রুত হাঁটলে বেশি উপকার

 হাঁটাহাঁটি হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম আর সহজতম শরীরচর্চা। তবে হাঁটারও আছে কিছু নিয়মকানুন। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
* হাঁটাহাঁটির শুরুতে ধীরগতিতে চলুন। আস্তে আস্তে গতি বাড়ান। শেষদিকেও ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে আনতে হবে। হাঁটা শেষে বিশ্রামের সময় দুই পায়ের পাতা টান টান করে রাখুন।
* প্রথমে কয়েক দিন ধীরগতিতে হাঁটুন। পর্যায়ক্রমে গতি বাড়াতে হবে। দ্রুত হাঁটলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। তবে অনভ্যস্ত কেউ দ্রুত হাঁটলে বুক ধড়ফড় করতে পারে। তাই আগে অভ্যস্ত হয়ে নিন।
* হাঁটার জায়গা না থাকলে বিদ্যুৎ-চালিত যন্ত্র ট্রেডমিলে হাঁটতে পারেন। এখানেও গতির বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
* পিঠ, ঘাড় ও কোমর সোজা রেখে হাঁটুন। এতে হাঁটার দ্রুততাও বাড়বে।
* হাঁটার সময় প্রথমে গোড়ালি ফেলতে হবে। পা ওঠানোর সময়ও আগে গোড়ালি ওঠাতে হবে।
* হাত নাড়িয়ে হাঁটলে হাতের ব্যায়ামও হবে।
* সমতল রাস্তায় হাঁটুন।
* ভোরের ঠান্ডা হাওয়ায় স্বস্তিতে হাঁটতে পারবেন। রোদে হাঁটলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
* নরম ও আরামদায়ক কেডস পরে হাঁটা ভালো। গোড়ালির দিকটা আরামদায়ক হতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই পায়ের যত্ন নিন। আরামদায়ক জুতা পরুন এবং খেয়াল রাখুন, হাঁটার সময় বা পা রাখার সময় কোনোভাবেই যেন পায়ে আঘাত লেগে না যায়।
* হালকা, ঢিলেঢালা, নরম ও আরামদায়ক পোশাক পরে হাঁটুন। সুতি পোশাক পরাই ভালো। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক পরে হাঁটাহাঁটি করলে ঘেমে অস্বস্তি হবে। টি-শার্ট বা ট্র্যাকস্যুট পরেও হাঁটতে পারেন।

Share this

Related Posts

First

1 comments:

comments